চারিদিক আছন্ন করা এক নিবিড় শূন্যতা,
আর তারই মাঝে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীরবতা।
কি চায় সে?
কি তাঁর মহিমা?
কি তাঁর বেদনা?
আওয়াজের দুনিয়ায় জ্বলে এক লেলীহান শিখা,
কেউ পায় না তাঁর দেখা।
শব্দের পরিপূরক আজ কোথায়? বুঝবে কি তাঁকে কেউ?
নাকি তোমার – আমার স্বপ্নের মত
সেও এক ম্রিয়মান ঢেউ ?
গোপনে চলমান মৃত লাশ একশত।
কেউ কি দেখেছে তাঁকে ?
কারো কানে গেছে সে বেদনার স্বর ?
এ কোন ভাষায় সে ডাকে?
কে তুমি? নিশীথ রাতের সওদাগর না আমার ভাস্কর?
কারে আজ আপন করে নেবার তরে এলে?
থাকবে কি চিরকাল আমার দ্বারে,
নিত্য আসা যাওয়ার পথিক হয়ে?
একান্ত আপন প্রেমিক হয়ে?
কোথায় তোমার দেশ?
কি মহিমায় ধরেছ এ বেশ?
তোমার আপোনজনেরাই বা কোথায় আজ,
শব্দের জালে তাঁরাও কি আবদ্ধ?
প্রতি প্রাতে তাঁরাও কি করে শব্দের খোঁজ,
নাকি আমারই মত সেও আজ স্তব্ধ?
তুমি বা কেন এলে অকাতরে তাঁদের ছেঁড়ে,
এ ভিন্ন দেশি অনাত্মীয়ের তরে?
কইলো না কিচ্ছু,
নিঃশ্চুপে এলো আমার পিছুপিছু।
চুপটি করে বসল সে পাসে,
আমার প্রিয়ার মনোরম বেশে।
চিনলাম তারে এতক্ষণে,
সে আমারই ছায়াসঙ্গী বটে।
ছদ্মবেশী, ভালোবাসা খোঁজে প্রতিক্ষণে ,
এই নির্জন সৈকতে।